
ভয়াবহ বন্যা কবলিত ফেনীতে একের পর এক মৃতদেহ ভেসে আসছে। এ নিয়ে জেলায় ২৮ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলাপ্রশাসন। এর আগে ২৬ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল জেলাপ্রশাসন।
পুলিশের গোয়েন্দা শাখার বরাত দিয়ে জেলাপ্রশাসন জানায়, নিহতদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও চারজন শিশু রয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে, বাকি আটজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নিহতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৭ জন, দাগনভুঞা ৩ জন, ফুলগাজীতে ৭ জন, সোনাগাজীতে ৬ জন, ছাগলনাইয়াতে ৩ জন ও পরশুরাম উপজেলার ২ জন রয়েছেন।
তবে স্থানীয় অন্য কয়েকটি সূত্র বলছে, বন্যায় জেলায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জেলার বিভিন্ন স্থানে এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
জেলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছে পরশুরাম উপজেলার উত্তর ধনীকুন্ডা এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে সাহাব উদ্দিন (৭২), একই উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মধুগ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৪২), ফুলগাজী উপজেলার নোয়াপুর গ্রামের শাকিলা আক্তার (২২), উত্তর করইয়া গ্রামের বেলালের ছেলে কিরণ (২০), দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রাজু (২০), কিসমত বাসুড়া গ্রামের আবুল খায়ের (৫০), লক্ষ্মীপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ তারেক (৩২), শনিরহাট গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে রজবের নেছা (২৫), পূর্ব দরবারপুরে ইউসুফ (৬০), সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের মাবুল হকের ছেলে নাঈম উদ্দিন (২৮), ছাড়াইতকান্দি গ্রামের শেখ ফরিদের ছেলে আবির (৩), দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর করিমপুর গ্রামের নুর নবীর ছেলে নুর মোহাম্মদ মিরাজ (৮ মাস), জয়লস্কর এলাকার হুমায়ুন কবিরের ছেলে জাফর ইসলাম (৭), দাগনভুঞা পৌর এলাকার মালেকা ভানু (৮৫), ছাগলনাইয়া থানার শুভপুর ইউনিয়নের উত্তর মন্দিয়া গ্রামের কুরফুলের নেছা (৭৫) ও মধ্যম নিশ্চিতা গ্রামের মো. আইয়ুব খান (৬০)। ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়ার উম্মে সাইমা (৯), মোটবীর রবীন্দ্রকুমার নাথ (৫৭), ছনুয়ার কবির আহম্মেদ (৬৫) ও কলিদহের অজিফা খাতুন (১১৫) রয়েছেন।
ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, বন্যায় ২৮ জন নিহতের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। নিহতদের পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। এ বিষয়ে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।