বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীদের দুঃসংবাদ দিলো কানাডা

আন্তর্জাতিক

বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্টাডি পারমিট ও কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিটের বিষয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা কমানোর জন্য এ পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক এক্স পোস্টে এ তথ্য জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। খবর এনডিটিভির।

এক্স পোস্টে জাস্টিন ট্রুডো লেখেন, আমরা চলতি বছরে আগের চেয়ে ৩৫ শতাংশ কম বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্টাডি পারমিট দিচ্ছি। আগামী বছরে এটি আরও ১০ শতাংশ কমবে।

তিনি আরও লেখেন, অভিবাসন আমাদের অর্থনীতির জন্য সুবিধা। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি যখন সিস্টেমের অপব্যবহার করে এবং শিক্ষার্থীদের ফায়দা লোটার চেষ্টা করে তখন আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিই।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল সরকার বর্তমানে জনমত জরিপে পিছিয়ে রয়েছে। চলতি সপ্তাহে দলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপ-নির্বাচনে হেরে যায়। এরপরই কানাডা সরকার বিদেশি শিক্ষার্থী এবং কর্মী কমানোর এই পরিকল্পনা ঘোষণা করল।

কানাডায় ২০২৫ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে অভিবাসন নীতি কানাডার রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কানাডার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২৫ সাল নাগাদ ৪ লাখ ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীকে স্টাডি পারমিট দেয়া হবে। ২০২৩ সালে দেশটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষার্থীকে তাদের দেশে যাওয়ার অনুমোদন দেয়। চলতি বছর প্রথম সাত মাসে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯২০ জন শিক্ষার্থী কানাডায় যাওয়ার অনুমোদন পেয়েছে।

গত এপ্রিলে কানাডায় অস্থায়ী বাসিন্দা ছিল মোট জনসংখ্যার ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। কানাডা সরকার চাইছে এটি পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনতে। সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের অভাব এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়সহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার জন্য কানাডায় অভিবাসীদের দায়ী করা হয়।