
আফগানিস্তানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেতরে ঢুকে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে তালেবান সরকারের শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রী খলিল হাক্কানিকে হত্যার দায় নিয়েছে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট গ্রুপ (আইএস)। স্থানীয় সময় বুধবার কাবুলে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদন বলছে, ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে এবারই প্রথম এমন শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতা নিহত হলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, হাক্কানি তাঁর কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় বিস্ফোরণে নিহত হন। এ সময় আরও ছয়জন নিহত হন।
খলিল হাক্কানি তালেবানের একটি শক্তিশালী গোষ্ঠীর একজন শীর্ষ সদস্য ছিলেন। যাকে বলা হয় হাক্কানি নেটওয়ার্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত করে।
জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট গ্রুপ (আইএস) হামলার দায় স্বীকার করেছে। আইএসের বার্তা সংস্থা আমাকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন আইএস জঙ্গি মন্ত্রীর কার্যালয়ের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন এবং বাইরে যাওয়ার সময় বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ ঘটান।
তালেবানের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, হাক্কানি আইএসের হাতে নিহত হয়েছেন।
খলিল হাক্কানির ভাই জালালুদ্দিন ছিলেন একজন বিখ্যাত গেরিলা নেতা। ১৯৮০–এর দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত সৈন্যদের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন তিনি। হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাও জালালুদ্দিন। তালেবানের ২০ বছরের বিদ্রোহের সময় অনেক হামলার পেছনে এই নেটওয়ার্ক।
মন্ত্রী হাক্কানির ভাতিজা এবং জালালউদ্দিনের ছেলে সিরাজুদ্দিন হাক্কানি তালেবান সরকারের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০২১ সালে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে তালেবান আফগানিস্তানের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার পর সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও প্রতি বছর দেশটিতে কয়েক ডজন বোমা হামলা এবং আত্মঘাতী হামলা অব্যাহত রয়েছে।