
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের পয়গাম নিয়ে মাহে রমজান মুসলিম উম্মাহর দ্বারপ্রান্তে উপনিত। পবিত্র মাহে রমাযান উপলক্ষে দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমাদ সাকী।
নেতৃবৃন্দ আসন্ন রমাযানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, রমাযান বিশ্বের কোটি মুসলমানের পরিশুদ্ধতার মাস। ইবাদত ও সংযমের মাস। বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান সকল পাপ পংকিলতা থেকে শুদ্ধতা অর্জন করেন এই মাসে। মহান আল্লাহ তা’আলা রমজান
মাসে রোজা প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানের উপর ফরজ করেছেন। একমাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর ভয়, আত্মিক পরিশুদ্ধতা ও শারীরিক সুস্থতা অর্জন করে। এই মাসে মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল হয়েছে। তাই এই মাসের পবিত্রতা রক্ষা করা সকল মুসলমানের জন্য অবশ্যই কর্তব্য। বিশেষ করে মুসলিম দেশের সরকার প্রধানের এই ক্ষেত্রে দ্বায়িত্ব অনেক বেশি।
আজ শনিবার (১লা মার্চ) সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক শুভেচ্ছা বার্তায় নেতৃদ্বয় বলেন, রমযান মাস তাকওয়া অর্জনের মাস, নাজাতের মাস, এ মাস সহানুভূতি ও সহমর্মিতার মাস। তাই রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করতেই হবে। অশ্লীলতা মাদক নির্মূল করতে হবে। ইন্টারনেটে অশ্লীল সাইটগুলো স্থায়ীভাবে ব্লক করতে হবে। তার সূচনা এই রমজান থেকেই হোক।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান আহ্বান জানিয়ে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, রোজাদারদের সুবিধার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খেটে খাওয়া মেহনতি-শ্রমজীবি মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় সহজ করুন। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও দৌরাত্ম্য রুখে দিন। জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পানি, গ্যাস সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে হবে। দিনের বেলায় হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখতে হবে। একই সাথে সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, মিথ্যা, পাপাচার, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, হত্যা, ধর্ষণ, জুলুম, নির্যাতনের অবসান ঘটাতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মহাগ্রন্থ আল-কুরআন নাজিলের মাস মাহে রমাযানে আমাদেরকে কুরআন চর্চায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। ব্যক্তি, সমাজ তথা রাষ্ট্রীয় জীবনকে আল-কুরআনের আলোকে সুসজ্জিত করার নতুন শপথে উজ্জীবীত হবে হবে।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, এ মাস নৈতিক ও আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণের মাস। পরিপূর্ণ হকসহকারে মাসব্যাপী রোজা পালনের মাধ্যমে আমাদের আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি সামাজিক সহমর্মিতা ও আত্মত্যাগের শিক্ষায় সমৃদ্ধ হতে হবে। সিয়াম সাধনার সাথে সাথে সালাত, সাহরি, ইফতার, তারাবিহ, তিলাওয়াত, তাওবাহ-ইসতিগফারে আত্মনিয়োগ করতে হবে। দেশ, জাতি, মুসলিম উম্মাহ ও সমগ্রবিশ্ববাসীর মুক্তির জন্যে কায়মনো বাক্যে আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে। রমজানের পবিত্রতা বিনষ্ট হয় এমন কার্যক্রম থেকে নিজেরা বিরত থাকি এবং অন্যকেও বিরত রাখি। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।